Shared by a CADET College Student.
তখন ক্লাশ ইলেভেনে । পাড়ার বখাটে ছেলে বলতে যা বোঝায় হাউসে আমাদের কয়েকজনের অবস্থা ছিল অনেকটা সেরকম যদিও নিজেদের আমরা খুব বস মনে করতাম । আমরা ৫ জন। আমি আরাফাত, ইফতি, আলীম, মেহেদী।
তখন ক্লাশ ইলেভেনে । পাড়ার বখাটে ছেলে বলতে যা বোঝায় হাউসে আমাদের কয়েকজনের অবস্থা ছিল অনেকটা সেরকম যদিও নিজেদের আমরা খুব বস মনে করতাম । আমরা ৫ জন। আমি আরাফাত, ইফতি, আলীম, মেহেদী।
আমাদের হাউসে এক অদ্ভুত চিড়িয়া বাস করত । তার নাম মাহমুদ । শুরু থেকে সে হাস্যরস বিষয়বস্তু ছিল ।
এক টার্মে ছুটি থেকে কলেজে আসার পর দেখি তার অনেক চেঞ্জ । ফুলটাইম নামাজ কালাম পড়ে । অবসর সময়ে দোয়া-কালাম পড়ত এবং মাঝে মাঝে তাকে অনেক আগের কাজা হয়ে যাওয়া নামাজ পড়তে দেখতাম । গেমস টাইমে চিপায় চিপায় ঘুরত আর বিড়বিড় করে কি যেন বলত। হটাৎ সে আমাদের কাছে একটা বিরাট রহস্য হয়ে গেল ।
অনেকে তার এই পরিবর্তনের কারন জিজ্ঞেস করত কিন্তু উত্তর মিলত না । অনেক কাহিনী করার পর জানতে পারলাম জ্বীন সংক্রান্ত কোন কিছু । ভালমত চেপে ধরলাম । শুনলাম সে নাকি জ্বীন পালে ।
তখন রক্ত গরম । জ্বীন দেখতে হবে । যেভাবেই হোক । দেখতেই হবে।
জ্বীনের নাম মীম অথবা হামযা, আমার ঠিক মনে নাই। তার বাড়ি ক্রোকাব শহরে। তার সাথে এ্যাপয়েন্টমেন্ট করা হল । এদিকে আমরাও প্রিপারেশন নিচ্ছি। উত্তেনজনায় তখন আমরা …… । ইভিনিং প্রেপে আমরা ৫জন একসাথে প্ল্যান করছি তার সাথে দেখা হলে কি বলব, তাকে দিয়ে কি কি আনাব ( আমরা আগেই জেনেছিলাম তার ক্ষমতা সম্পর্কে)। ডিনারে কিছুই খাওয়া হল না কারন রাতে জ্বীন সাহেব আছেন । নাইট প্রেপ যেন আর শেষ হয় না।
রাত ১২টা ।
আমরা দুই পাশের করিডোরের সবগুলা লাইট বন্ধ করে দিয়েছি । অপেক্ষা করছি । কিন্তু মাহমুদ আর আসে না । আরো অনেক পর সে আসলো । কৈ গেছিলি ভয়ে জিজ্ঞেস করতে পারলাম না । এখনই জ্বীন ল্যান্ড করবে আমাদের রুমে। মাহমুদের রহস্যময় এবং ধার্মিক ইম্প্রেশনের কারনে আমরা সবাই মোটামুটি কনফিউসড । মনে হচ্ছে জ্বীন আসলেও আসতে পারে।
প্রসেস শুরু হল । আলো আধারিতে মাহমুদ কে মাঝখানে নিয়ে আমরা বসে আছি । হটাৎ মাহমুদ সেন্সলেস হয়ে গেল । অদ্ভুত এক গোঙানোর আওয়াজ তার মুখে । হটাৎ করে ভয় পেয়ে গেলাম । নানামুখী ভয় । যদি জ্বিন সতিই এসে থাকে প্রথমত তার উপস্থিতির ভয় এবং মাহমুদের খারাপ কিছু হয়ে গেল কি না তার ভয় । আমার মাথা ঝিম ঝিম করতে লাগল ।
জ্বিনের সাথে কথা বলছি । তার নাম পরিচয় নিয়ে বৃত্তান্ত কথাবার্তা হল । তিনি আমাদের পরিচয় জানলেন । জিজ্ঞেস করলাম আপনার কন্ঠস্বর মাহমুদের মত কেন ?
তার গোজামিল উত্তর । আমার রুমমেট ইফতেখার খোচা দিয়ে বুঝিয়ে দিল সে কিছুই বিশ্বাস করছে না । তখনও আমার মনে সংশয় । হয়ত ইনিই আসল হামযা সাহেব। তিনি নিজেকে একজন তাবেঈন বলেও দাবি করলেন ।
মেজাজ খারাপ হয়ে গেল যখন তিনি বললেন তিনি কলেজের বাইরে থেকে কিছুই এনে দিবেন না । তিনি পারেন কিন্তু দিবেন না । কত আশা করে একটা লিস্ট বানাইছিলাম … আফসোস !! সেই লিস্টে বাহারী সব আইটেম ।
সমস্ত ভয় কেটে গেল । ত্যাড়া ত্যাড়া কথা বলতে শুরু করলাম । দেখি জ্বীন যাইতে চায় ।
হুট করে বলে ফেললাম “মাহমুদ আ্যকটিং শেষ কর” ।
একটু পর জ্বীন চলে গেল । মাহমুদের জ্ঞান ফিরল একটু পর।
মাহমুদের আমাদের এইভাবে জ্বীন দেখায়ে গেল , পুরা __ হয়ে গেলাম । খুব ইজ্জতে লাগল । একটু হলেও ভয় পেয়েছিলাম এটাই আমদের ব্যার্থতা ।