ভূকা ১৯ : চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ‘বান নিক্ষেপ’

ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ কওছর আহমদ হঠাৎ করে রহস্যজনক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে, প্রতিহিংসা বশতঃ তাকে ‘বান নিক্ষেপ’ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চেয়ারম্যানের বাড়ীতে গিয়ে উঠান জুড়ে প্রায় শখানেক মাওলানাকে খতম পড়তে দেখা যায়।

জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে একটি অজ্ঞাত নাম্বার থেকে সৈয়দ কওছর আহমদকে মোবাইলে জানানো হয় তাকে প্রাণে মারার জন্য সুনামগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জের দুজন কবিরাজ দিয়ে তাবিজ কবজ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু কওছর আহমদ মোবাইলের বিষয়টি পাত্তা না দিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যান। বিকাল ৫টার দিকে দক্ষিণ গোয়ালাবাজারে তিনি অসুস্থ বোধ করলে তাকে স্থানীয় ডাক্তারখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ডাক্তার তার রোগ ধরতে না পেরে তাকে বিশ্রামের নির্দেশ দেন।

রাত ১১টার দিকে সৈয়দ কওছর আহমদ তার বাড়ীতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু সকালে ঘুম ভাঙ্গলে তিনি তার সারা শরীরে অবচেতন বোধ করেন। তার মুখ ও জিহ্বা বাঁকা হয়ে যায়। তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। সাথে সাথে ডাক্তার নিয়ে যাওয়া হলেও ডাক্তাররা এ রোগ তাদের দিয়ে সারানো সম্ভব নয় বলে জানান। পরবর্তীতে তাকে সিলেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হলে এ সময় চেয়ারম্যানের অসুস্থ্যতার খবরে তাকে দেখতে আসেন পারিবারিক আত্মিয় পইলভাগের মাওলানা মনোয়ার আহমদ।


তিনি কপালে হাত দিয়ে সৈয়দ কওছর আহমদকে পর পর ৩টি বান (!) মারা হয়েছে বলে জানান। মাওলানা মনোয়ার আহমদ কিছুক্ষণ ঝাড়-ফু দিলে সৈয়দ কওছর আহমদের শরীরে চেতন ফিরে আসে এবং তিনি কথা বলতে শুরু করেন। কওছর আহমদকে বান মারা হয়েছে এমন খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন তাকে একনজর দেখতে ভিড় জমায়।

অসুস্থ সৈয়দ কওছর আহমদ বলেন, আমি জানি না সত্যি সত্যি আমাকে বান মারা হয়েছে কি না। তবে যদি কেউ এ কাজ করে থাকেন তবে তা মানবতা বিরোধী বলেই ধরে নিতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা থাকবে। বিরোধীতার খাতিরেই বিরোধীতা করতে হয়। কিন্তু কেউ কারো প্রাণ সংহার করবে-এমনটা কখনোই কাম্য নয়। আমি এ বিচারের ভার মহান আল্লাহ এবং এলাকার জনগণের উপর ছেড়ে দিলাম।

দৈনিক উত্তর-পূর্ব
২২ জুন ২০১১