- Evil Dead : ইভিল ডেড আমারো দেখা প্রথম ভূতের ছবি। ভিসিপিতেই দেখসিলাম। ক্যাসেট ফেরত দিতে গিয়ে দেখি দোকান উঠে গেসে; মালিকানা পেয়ে তাই আরো কয়েকবার দেখা হইসিল। তবে ঠিক, এখন দেখতে গেলে স্পেশাল এফেক্টগুলো দেখে অনেক হাসি পাবে।
- The Omen : পৃথিবীর
গভীর থেকে উঠে আসছে অস্পষ্ট একটা শব্দ। মানব কণ্ঠস্বর কিন্তু কেমন যেন বিকৃত।
গুহায়, খোলা মাঠে, ঘরে-সব জায়গাতেই জড় হয়েছে ওরা। ধাত্রী যেন হাতে হাত
মিলিয়ে মাথা নত করে সবাই স্তব করছে নবজাত শিশুকে। আকাশে, বাতাসে, স্বর্গে, নরকে, পাতালে আওয়াজ উঠছে। অশুভ সংকেত! দুলে উঠল সারা
পৃথিবী। রোমে যাওয়ার পথে বোয়িং ৭৪৭-এ বসে রবার্ট থর্নও টের পের এই দোলা।
ভাগ্যে না জানি কি আছে ভাবতে ভাবতে সিট বেল্ট বেধে নিলেন তিনি। এই ঝন্ঝার
কারন যদি সে জানতো তবু তার করার কিছুই ছিল না, আসলে অনেক দেরী হয়ে গেছে। সে জানে না, রোমের অসপিডাল ডি স্যান্টোর মাটির তলার একটা ঘরে ঠিক সেই মুহূর্তেই
পাথরের আঘাতে নবজাত এক শিশুর মাথা গুড়িয়ে দেওয়া হলো। শিশুটা ছিল তারই সন্তান।
পরে তাকে জানানো হলো তার স্ত্রী মৃত এক সন্তানের জন্ম দিয়েছে। নিজের অজান্তেই
সে পা দিল পিশাচ-সাধকদের ফাদে। দত্তক নিল একটি সদ্যজাত শিশুকে। বেচারা জানে
না, দত্তক নিয়েছে সে আসলে পিশাচ পুত্র ডেমিয়েনকে। শুরু
হলো এক ভয়ানক অশুভ কাহিনী। ধীরে ধীরে বেড়ে উঠলো ডোমিয়েন থর্ন। প্রচন্ড ক্ষমতা
অর্জন করে হয়ে উঠল অপ্রতিরোধ্য। এখন মন্ত্রপুত ছুরি বসিয়ে তাকে হত্যা করতে
হবে, এড়াছা তাকে ধংস করার আর কোন উপায় নাই। কিন্তু কে
করবে সেটা, আর কিভাবেই বা করবে? ডেভিড সেলজার, জোসেফ হাওয়ার্ড আর গর্ডন ম্যাকগিল একসাথে লিখেছেন দি ওমেন কাহিনীর
তিনখন্ড। যা "অশুভ সংকেত" নামে বাংলায় রূপান্তর করেছে কাজি মাহাবুব
হোসেন। ১৯৭৬ সালে রিচার্ড ডোনার "দ্যা ওমেন" এর কাহিনী নিয়ে মুভি
তৈরি করেন। মুভিটার নামও দি ওমেন । আইএমডিবি রেটিং 7.6/10। আমার পড়াসবচেয়ে ভয়ঙ্কর গল্পের একটা হলো
"অশুভ সংকেত"। গা শিউরে ওঠা, ছমছমে পরিবেশ- সবই পাবেন উপন্যাসটাতে। প্রতি পরিচ্ছেদে ভাবতে বাধ্য
হবেন, "কি হলো এটা, এমনটা কি হওয়ার কথা ছিল?" মুভিটাও সেইরকম। হরর পরিবেশের পুরোটাই দেখানো হয়েছে
এই মুভিতে। বইটা তিন পর্বের হলেও, মুভিটা পাঁচ পর্বের।
- ব্রাম স্টোকারস ড্রাকুলা : কম্পিউটার আর
সিডির সাথে যখন পরিচয় হল তখন একদইন দেখলাম ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার সেই
বিখ্যাত ব্রাম স্টোকারস ড্রাকুলা। অসাধারণ একটা মুভি। ড্রাকুলার ভূমিকায়
গ্যারি ওল্ডম্যানের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। পিশাচকাহিনী যতগুলো
দেখেছি তার মধ্যে এই তিনটাই এই পর্যন্ত ভাল লেগেছে, ড্রাকুলা, ইন্টারভিউ উইথ
দ্য ভ্যাম্পায়ার আর কদিন আগে দেখা লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন। দেখি এক্সরসিস্ট।
খুবই ভয় পেয়েছিলাম এক্সরসিস্ট দেখে। অনেকদিন পর এর পরের প্রিকুয়েলটা দেখেও
ভাল লেগেছিল। সেইসময় আরো অনেক হরর মুভি দেখি। কিছু মুভি আছে দেখতে গেলেই
বিরক্ত লাগতো, শুধুই কাটাকাটি রক্তারক্তি দেখাতো
মুভিগুলোতে যেখানে কাহিনীর আগা মাথা কিছুই নেই। নাইটমেয়ার অন এল্ম স্ট্রিটের
কিছু পার্ট ভাল লেগেছিল। জেসনের প্রথমটা মোটামুটি উতরে গেলেও বিরক্ত লেগেছিল
এই ধরনের মুভির ধারায়। একজন এসে কপকপ করে এক গ্রুপ বন্ধু বান্ধবীকে খাবে বা
খুন করবে, চিরকূট রেখে যাবে 'আমি জানি তোরা সামারে কি াল ফেলেছিলি' , অসহ্য!
- এক্সরসিস্ট
- দ্য রিং : ভার্সিটিতে থাকার সময় দেখি দ্য রিং। ভয়াবহ ভাল লাগল, দেখলাম এর মূল জাপানীটা, ওটাও ভাল লাগল। দেখলাম চারটি গল্প নিয়ে অসাধারণ
কাইদান মুভিটা। শুরু হল আমার এশিয়ান যত হরর মুভি দেখা। একে একে দেখলাম জু অন
(হলিউডী গ্রাজ), APT, দ্য আই, ডার্ক ওয়াটার, এ টেইল অফ টু সিস্টারস, থ্রি, শাটার, এলোন আরো বেশ কিছু। দেলতোরো'র ডেভিল'স ব্যাকবোন এর তো তুলনা হয় না। স্প্যানিশ একটা হরর সিরিজ পেলিকুলাস
পারা নো দোরমিরের লা হাবিতাসিঁও দেল নিনো, পারা এন্ত্রার আ ভিভির পর্বগুলো বেশ লাগলো। মাইকেল জে ফক্সের
ফ্রাইটেনার্স মুভিটা আমার আধাখ্যাচড়া দেখা ছিল। এই কয়েকদিন আগে দেখলাম, দারুণ একটা মুভি! শেষ যেকটা ইংরেজী ভাল হরর মুভি
দেখেছি সেখানে দ্য মিস্ট, ১৪০৮, ফ্র্যাজাইল, ডেড সাইলেন্সের নাম না বললেই না।
- রিং অরিজিনাল জাপানিজ ভার্শন 'রিঙ্গু'
- জু অন
- বিশ সাল বাদ
- দ্য আই
- ডার্ক ওয়াটার
- থ্রি
- ডেভিল'স ব্যাকবোন
- ফ্রাইটেনার্স
- দ্য মিস্ট
- ড্র্যাগ মি টু হেল : স্যাম রাইমির
ড্র্যাগ মি টু হেল। ইভিল ডেড, গিফটের অনেকদিন
পর হরর মুভি বানালেন ভদ্রলোক। রাইমির ইভিল ডেড এখন দেখতে বসলে স্পেশাল
ইফেক্টের পার্টগুলো দেখলে অবশ্য হাসি পাবে, তবে তার
দুর্দান্ত ক্যামেরা অ্যাকশন আর আবহ এখনো ভয় পাইয়ে দেবে। ইভিল ডেড এর পরের
পর্বগুলোতে রাইমি অবশ্য হরর থেকে বেশী অ্যাডভেঞ্চার আর হাস্যরস নিয়ে
এসেছিলেন। তৃতীয় পর্বটাতো পুরোই হাসির একটা মুভি। শুনলাম ইভিল ডেড রিমেইক হবে
আর একই সাথে এর ৪র্থ পর্বও বের হবে। দেখা যাক কি হয়। আচ্ছা ড্র্যাগ মি টু হেল
এর কথা যখন উঠল তখন একটা ছোটখাট রিভিউ দেই। গল্পটা তুকতাকের গল্প। অপদেবতার
গল্প। গল্পের নায়িকা ক্রিস্টিন একজন ব্যাঙ্ক লোন অফিসার। একদিন অফিসে তার
কাছে বাড়ির মর্টগেজের এক্সটেনশনের আর্জি নিয়ে আসে এক জিপসী বৃদ্ধা। কিন্তু
ক্রিস্টিন জানে এটা করলে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানাজারের পদ তার হাত ছাড়া হয়ে
যেতে পারে। সে না করে দেয়, বুড়ি ছাড়ে না, একসময় তার পায়ে পরে। তাতেও যখন কিছু হয় না অফিসের পর তাকে ধরে
বুড়ি আর অভিশাপ দেয়, 'ছুড়ি! তোকে লামিয়া ধরল বলে!'
মুভিটার
মধ্যে রাইমির হররের পাশাপাশি কিছু হিউমারের সেন্সেরও পরিচিয় পাওয়া যায় যখন দেখা
যায়,
বুড়ির প্রেতাত্মা যখনি ক্রিস্টিনের সাথে হুটোপুটি করে তার চুল এক
গাছা না ছিড়ে বিদেয় হয় না। তবে মুভির কিছু জায়গা দেখে বিরক্ত লেগেছে, অনেক অংশই দেখে মনে হয়েছে রাইমি একটু বেশিই মজা করে ফেলছেন, আর একটু সিরিয়াসনেসের দরকার ছিল। এডিটিংটাও কয়েক জায়গায় বেখাপ্পা
লেগেছে। তবু মুভিটা ভাল লাগলো। কিছু দৃশ্য দেখে আসলেই ভয় পাবার মত। আর শেষটা আঁচ
করতে পারলেও ভাল লেগেছে।
- হোস্টেল
- এক্সরসিজম অভ এমিলি রোজ : 'এক্সরসিজম অভ এমিলি রোজ' যেদিন দেখসিলাম, রাতে একলা ছিলাম রুমে।
ভার্সিটির হলে। ভয় যা পাইসিলাম! মাঝপথে থামায়া দিয়া, মেসেঞ্জারে দেখলাম কে আছে তখন। এক ফ্রেন্ডরে পাইলাম। কিছুক্ষণ
আলাপ করলাম, যাতে করে ভয় কমে। এরপর ঘুমাইতে গেলাম.....
- অ্যান অ্যামেরিকান হন্টেড
- Hills have
eyes