ভূতুড়ে কাহিনী ৬৫ : পুখুরিয়ায় রক্তচোষা

মানিকগঞ্জ জেলার ঘিউর উপজেলায় পুখুরিয়া এলাকায় একবার 

অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই লাশটির কোন 

নাম পরিচয় পাওয়া না যাওয়ায় তাকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে 

দাফন করা হয়। পরদিন সকালে স্থানীয় কয়েকজন কবরটির 

উপরের মাটি সরে থাকতে দেখে এলাকার পুলিশকে খবর দেয়। 

পুলিশ এসে তাদের লোকজন নিয়ে কবর খুড়ে দেখে কবরটি 

ফাঁকা। এবং সেখানে শুধু কাফনের কাপর পরে আছে।এই ঘটনার 

পর থেকে স্থানীয় মানুষের অনেক গরু-ছাগল খুব দ্রুত কোন 

কারন ছাড়াই মারা যেতে লাগলো। এমন অদ্ভুত রোগ কেউ কখনও 

দেখেনি। তাদের গরু-ছাগল গুলো খোয়ারে মরে থাকতো এবং 

গায়ে কোন রক্ত থাকত না।কেউ যেন রক্ত চুষে নিয়েছে সেগুলোর 

গা থেকে। সেই এলাকার অনেক গৃহস্থ ভয়ে তাদের গরু-ছাগল 

গুলো বিক্রি করে দেয়। এলাকার স্থানীয় কৃষক, বাচ্চু মিয়াঁ একবার 

নিজের খোয়ারে অদ্ভুত শব্দ পেয়ে উকি দেয়। তখন মাত্র সন্ধ্যা 

হয়েছে। তাই ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে খানিকটা আলো এসে খোয়ারে 

পরেছে। সেই আলোতে তিনি দেখলেন তার একটা গরু মরে পরে 

আছে এবং তার উপর এক অদ্ভুত মানুষ সদৃশ প্রাণী চেপে বসে 

আছে।সেই প্রাণীটি ঐ গরুর গলায় কামর দিয়ে ধরে যেন রক্ত 

খাচ্ছে। ভয়ে বাচ্চু মিয়াঁর গলা দিয়ে আতকে উঠার শব্দ বের হয়। 

সাথে সাথে ঐ বস্তুটি বাচ্চু মিয়াঁর দিকে চোখ তুলে তাকায়। এরপর 

সেটা খুব দ্রুত খোয়ারের জানালা দিয়ে বের হয়ে পাশের খেতের 

মধ্যে ঢুকে পরে। বাচ্চু মিয়াঁর ভাষ্যমতে, ঐ বস্তু মানুষের মতই 

দৌড়াচ্ছিল। তবে খুব দ্রুত। প্রায় চোখের পলকে হারিয়ে যায় 

বস্তুটি। ঐ দিনের পর থেকে ঐ গ্রামে আর কোন গৃহপালিত পশু 

মরার কথা শোনা যায়নি।