আজকে আপনাদের সাথে যেই ঘটনাটি শেয়ার করছি তা আমার মামার মুখ থেকে শোনা। ঘটনা যার সাথে ঘটেছিলো সে আমার মামার বন্ধু। ঘটনাটি ঘটে নওগাঁ শহরের একটি রাস্তায় । এই ঘটনাটির যার সাথে ঘটে তার নাম হাবিব। মামার বন্ধু সেই সুবাদে আমিও উনাকে হাবিব মামা বলে ডাকতাম। হাবিব মামা নিজের বাসায় রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। কোন চাকরি না পেয়ে পরিচিত এক লোকের সি এন জি চালাতেন। ঘটনাটি ঘটে যখন হাবিব মামা এক রাতে সিএনজি নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। তখন রাত প্রায় ২ টা বাজে । তিনি হঠাৎ দেখলেন দুইজন মধ্যবয়সী হুজুর ধরনের ব্যক্তি তাকে সিএনজি থামানোর জন্য অনুরোধ করছে । তা দেখে সে থামল এবং একজন হুজুর তার সাথে কথা বললো ।
ভূতুড়ে কাহিনী ৯৭: নওগাঁ শহরের একটি রাস্তা
হুজুরঃ ভাই আমরা খুব বিপদে পড়েছি ।
হাবিবঃ আপনাদের কি হয়েছে জানতে পারি ?
হুজুরঃ সামনে আমাদের এক বন্ধু একটি লাশ নিয়ে দাড়িয়ে আছে । ওই লাশটাকে নিয়ে আমাদের সামনের গ্রামে যেতে হবে । তুমি কি আমাদের পৌঁছে দিতে পারবে?
হাবিব মামা কিছুক্ষণ ভাবলো ।তার মাঝে উনাদের জন্য দয়া হলো ।সে আবার কথা বললো ।
হাবিবঃ আমি আপনাদের পৌঁছে দিব ।
হুজুরঃ ধন্যবাদ তোমাকে ।
এটা বলে দুইজন সিএনজ়িতে উঠে পড়লো । কিছু দূরে যেতেই হাবিব মামা দেখলো আরেকজন হুজুর লাশ নিয়ে দাড়িয়ে আছে ।লাশটি কাপড় দিয়ে প্যাচানো । হাবিব মামা উনার সামনে এসে সিএনজ়ি থামালো ।এরপর দুই হুজুর নামলো এবং তিনহুজুর লাশটি নিয়ে উঠলো । তারপর তারা হাবিব মামাকে সিএনজ়ি চালাতে বললো । আর একজন হুজুর ওর সাথে কথা বলতে থাকলো ।
হুজ়ুরঃ সামনের গ্রামে যেতে কতক্ষন লাগবে ?
হাবিবঃ প্রায় ৪০ মিনিট ।
হুজুরঃ তুমি পেছনের দিকে চাইবে না । লাশের অবস্থা বেশি ভালো না । দেখলে ভয় পাবে ।
হাবিবঃ আচ্ছা হুজুর ।
তারপর হাবিব মামা সিএনজি চালাতে শুরু করলো । কিন্তু সে লাশ দেখার আকর্ষণ অনুভব করলো কিন্তু সে সাহস পেলো না । এর ৫ থেকে ৬ মিনিট পর সে এক অদ্ভুত বাজে শব্দ শুনতে পারলো ।
এক অজানা ভয় তাকে গ্রাস করলো । সে তার মনের ভয় দূর করার জন্য সামনের লুকিং গ্লাস দিয়ে পেছনের দিকে চইলো । চেয়ে যা দেখতে পারলো যা সে কেনো, আমরা কেউ কোনোদিন ভাবতে পারি না । কল্পনাও করতে পারি না। সে দেখলো ওই তিন হুজুর লাশটিকে ছিড়ে ছিড়ে শকুনের মত খাচ্ছে। কেউ কলিজা, তো কেউ বুকের রক্ত পান করছে। তা দেখে সে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেল। যখন তার জ্ঞান ফিরলো তখনসে হাসপাতালে ভর্তি। তার সারা শরীরে ব্যান্ডেজ । তাকে সকালে রাস্তার পাশে একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয় ।
এখন সে সুস্থ আছে । কিন্তু ওইদিনের ঘটনার পর থেকে আজও সে সন্ধ্যার পর আর সিএনজি নিয়ে বের হয় নি । তিনি নওগাঁ থেকে ঢাকায় চলে এসে একটা ব্যবসা শুরু করেন। তাকে আজও ওইদিনের ঘটনা তাড়া দিয়ে বেড়ায় ।
RELATED POSTS