জ্বিন শরীরে ভর করে

সমস্যাটা আমার চাচাত ভাইয়ের স্ত্রীর। যখন তার স্ত্রী ছোট তখন

বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে থেকে তার স্ত্রী তার আণ্টির কণ্ঠ শুনতে পায়।

যে কণ্ঠ তাকে বাঁশ ঝাড়ের দিকে ডাকছিল, সে কণ্ঠে তার স্ত্রী সাড়া

দিয়েছিল এবং সেদিকে গিয়েছিল। তারপর থেকেই মোটামুটি তার

সমস্যা প্রকাশ্যে আসে।

সংক্ষিপ্তাকারে বলতে গেলে, সে এখনো জ্বিনগ্রস্থ হয় এবং তাকে অনেক কষ্ট দেয়। যেমন -


১. নামাযে দাঁড়ালে অনেকসময় জোরে ধাক্কা দেয় ফলে সে দূরে

গিয়ে ছিটকে পড়ে। অনেক সময় নামাযরত অবস্থায় মুখ দিয়ে রক্ত

বের হয়। কখনো নিজেই নিজের গলা চিপে ধরে, এমন আরো

আজব কাণ্ডকারখানা করে।

২. মাঝেমাঝে জ্বিন শরীরে ভর করে, এটা সেটা খেতে চায়। বাধ্য

হয়ে দিতে হয় অনেকসময়, দিলে তা নিমিষেই সাবাড় করে

ফেলে। কখনো কখনো জোর আওয়াজে বলে- শরীরে রক্ত নেই,

দ্রুত রক্ত দিতে হবে- অথচ সে রক্তস্বল্পতার রুগী নয়।

৩. জ্বিনরা বলে, আমরা চলে যাব যদি সে নির্জনে রাতে বের হয়,

অনেকগুলো ব্রিজ অতিক্রম করে বা সোনা মাসজিদের নির্জন এক

জায়গায় একায় যায়।

৪. সেই মেয়ের পরিবার কবিরাজ দেখিয়েছিল, কবিরাজ নাকি

বলেছে তার শরীরে ২১ টি জ্বিন আছে। সত্যাসত্য জানি না, তবে

তার পরিবারের ভাষ্যমতে আমেনা নামের একটি ভাল জ্বীন আছে।

সূরা ফাতেহা, ইখলাস, ফালাক্ব, নাস পড়লে সে নাকি হাজির হয়ে

যায়। সে নাকি তাকে অন্য জ্বিনদের থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে,

আর সে ব্যতীত অন্যসকল জ্বীনরা নাকি হিন্দু।